রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!
৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ভারতের অর্থনীতি

৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ভারতের অর্থনীতি

স্বদেশ ডেস্ক: ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে এগুচ্ছে। মন্দা এমন পর্যায়ে গেছে যে এরকম সঙ্কট বিগত ৭০ বছরে আসেনি বলে মন্তব্য করে বড়সড় আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ভারতের অর্থনীতিবিষয়ক সংস্থা নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।

বস্তুত অর্থনীতির সঙ্কটের আভাস অনেক আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। জিডিপি বৃদ্ধির হার ক্রমাগত কমেছে বিগত কয়েক বছরে। উৎপাদন শিল্প থেকে কৃষি এবং অর্থনীতির কোর সেক্টরের বৃদ্ধিহারের লাগাতার মন্দা একেবারে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। মন্দা এতটাই প্রভাব ফেলেছে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ শিল্পে যে, দেশজুড়ে কর্মসংস্থানের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। একের পর এক সংস্থা ঘোষণা করছে কর্মী ছাঁটাইয়ের। অটোমোবাইল থেকে বিস্কুট প্রতিটি শিল্প এতটাই ধাক্কা খেয়েছে যে বহু ইউনিট বন্ধ হয় যাচ্ছে। পার্লে জি কোম্পানি জানিয়েছে, তারা ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে যাবে। ব্রিটানিয়া সংস্থা জানিয়েছে পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। হিরো, মারুতি, টাটা মোটরস, হন্ডা প্রতিটি সংস্থারই গাড়ি বিক্রি বিপুলভাবে কমে গেছে এবং উৎপাদন ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে কর্মীদের ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতেও এতদিন সরকার স্বীকার করেনি অর্থনীতির মন্দার কথা। কিন্তু এবার কখনো রিজার্ভ ব্যাংক, কখনো নীতি আয়োগ সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছে যে অর্থনীতির বেহাল দশা উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। আর তাই শুক্রবার মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তড়িঘড়ি অসংখ্য নতুন ঘোষণা করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা করেছেন। ঘোষণা করেছেন, ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থাগুলোকে ৭০ হাজার কোটি রুপি দেয়া হবে অবিলম্বে।

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার মার্কেট তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই মন্দা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। খোদ রিজার্ভ ব্যাংক কর্মকর্তার ওই মন্তব্য নিয়ে আলোড়নের রেশ মেটার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, মরিয়া কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হলে এই আর্থিক মন্দা ঠেকানো যাবে না। কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে সরকার দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে। ফলস্বরূপ শুক্রবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা। যদিও শুক্রবার দৃশ্যতই নার্ভাস অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা থেকে স্পষ্ট, রাজনীতিতে অবিরত জয়ী হওয়া মোদি সরকার অর্থনীতিতে যথেষ্ট ব্যাকফুটে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877